ডাটা রিকভারি কি এবং কীভাবে কাজ করে?

ডাটা রিকভারি কি এবং কীভাবে কাজ করে?
আমাদের প্রত্যেককেই ডাটা লসের সাথে মকাবেলা করতে হয়—যখন প্রশ্ন আসে হার্ডড্রাইভ ফেইল হওয়া বা ডাটা করাপশন হয়ে যাওয়া বা যখন আমরা ভুলবশত কোন ফাইল ডিলিট করে ফেলি। আর এভাবেই যদি আপনি কখনো কোন গুরুত্বপূর্ণ ডাটা হারিয়ে থাকেন তবে, নিশ্চয় ডাটা রিকভারি সম্পর্কে শুনেছেন। আজকের আলোচনা করবো এটি কীভাবে কাজ করে, এটা কতটা কার্যকর এবং সকল ধরনের ডাটা রিকভার করা সম্ভব কিনা সেই ব্যাপার গুলো নিয়ে। তো চলুন সবকিছু খুঁজে বের করা যাক।
ডাটা হারিয়ে ফেলা এবং ডাটা রিকভারি

ডাটা কী?

ডাটা হলো তথ্যের আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত তথ্যের সেট বা তাত্ত্বিক তত্ত্বে তথ্যের একটি প্রবাহ। এটি সংখ্যা, শব্দ, চিত্র, শব্দান্তর, অক্ষর ইত্যাদির রূপে প্রকাশ পেতে পারে। ডাটা তথ্যের আবদ্ধতা ও অবদ্ধতা নির্ধারণ করার প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত।

ডাটা প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে তথ্য বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। ডাটা বিভিন্ন ধরণের তথ্য সম্প্রসারণ ও বোঝার প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজন তথ্যে পরিণত হয়।

ডাটার মূল রূপান্তর শব্দ, চিত্র, সংখ্যা, অক্ষর ইত্যাদি অথবা এদের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। এই তত্ত্বে, উদাহরণস্বরূপ, একটি ইমেল মেসেজ ডাটা হিসেবে প্রদর্শিত হতে পারে যেখানে শব্দ, অক্ষর, সংখ্যা, ইমেজ ফাইলের ডেটা ইত্যাদি সমন্বয় আছে।

ডাটা সম্প্রসারণ, তথ্য সংরক্ষণ, তথ্য বিশ্লেষণ, নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া, এবং অন্যান্য কাজে ডাটা একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।

ডাটা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্তনষ্ট বা হারিয়ে যেতে পারে?

ডাটা ক্ষতিগ্রস্ত, নষ্ট বা হারানো হতে পারে বিভিন্ন কারণের মাধ্যমে। নিম্নলিখিত কিছু উদাহরণ:

হার্ডওয়্যার ফেইলার: হার্ডডিস্ক বা অন্যান্য স্টোরেজ ডিভাইসের ফেইলারের কারণে ডাটা নষ্ট হতে পারে। যেমন, হার্ডডিস্কের মেক্যানিক্যাল অথবা ইলেকট্রনিক্স কোম্পোনেন্টের সমস্যা হতে পারে।

ডিজিটাল করাপ্টিং: ডাটা ফাইলের ডিজিটাল করাপ্টিং হলো যখন ফাইলের ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তা সঠিকভাবে পড়া যায় না। এটি ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, হার্ডওয়্যার সমস্যা ইত্যাদির কারণে ঘটতে পারে।

ডেটা ডিলিট বা ফরম্যাট করা: ভুলে যাওয়া অথবা ভাইরাসের আক্রমণের পর ডাটা ডিলিট করা বা স্টোরেজ ডিভাইস ফরম্যাট করা হতে পারে।

অনুমতি অভাব: কিছু ডাটা স্টোরেজ ডিভাইসে প্রবেশ করার জন্য সঠিক অনুমতি না থাকলে ডাটা অ্যাক্সেস করা সম্ভব না হতে পারে।

নিস্ক্রিয়তা: একটি স্টোরেজ ডিভাইস যখন পর্যাপ্ত সময়ে ব্যবহার না হওয়ায় অথবা পানি, তাপমাত্রা, আলোক ইত্যাদির প্রভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ভাইরাস আক্রমণ: ক্র্যাকড সফটওয়্যার, অপ-টু-ডেট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বা অন্যান্য ভাইরাসের কারণে ডাটা আক্রান্ত হতে পারে।

এই সমস্যাগুলির প্রতিরোধ ও পুনরুদ্ধারে ডাটা রিকভারি প্রয়োজন হতে পারে।

তবে একটি কথা মাথায় রাখা প্রয়োজনীয় যে, সবসময় কিন্তু ডাটা রিকভার করা সম্ভব হয় না—অনেক সময় সিস্টেম এতোটাই অকেজো হয়ে পড়তে পারে, যেখান থেকে কোন ডাটা পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব। যাই হোক, বর্তমানের ডাটা রিকভার প্রযুক্তি প্রচণ্ড বিপ্লব অর্জন করেছে,  ডাটা-রকভারি কোম্পানি যারা ৯৯% যেকোনো হার্ডড্রাইভ থেকে ডাটা পুনরুদ্ধার করার নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে।

সতর্কতা

হারিয়ে যাওয়া কিংবা মুছে যাওয়া ডাটা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যারা তাদের ডাটাকে মূল্য দেয়, তাদের জন্য ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার অপরিহার্য হাতিয়ার। বিনামূল্যের সফটওয়্যারগুলো সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা প্রয়োজন। যেমন: আপনার ডিভাইস, স্টোরেজ এবং অপারেটিং সিস্টেমে ওই সফটওয়্যার সমর্থন করে কিনা, প্রিভিউ দেখায় কিনা, ডিপ স্ক্যান করতে পারে কিনা এবং পেইড সফটওয়্যার আপনার বাজেটের মধ্যে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, সফটওয়্যার বা পেশাদার ডেটা রিকভারি এক্সপার্ট এর  সাহায্য ছাড়া ডেটা রিকভারি সম্ভব নয় ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *